যশোরে এক নারীকে চুরির অভিযোগে মারধরের পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে যশোর সদরের দোগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয় জনকে আটক করেছে। আহত ওই নারীকে সোমবার বিকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী নারীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, গ্রামের মনসুর নামে এক ব্যক্তির কাছে নাতনির জন্য তেলপড়া আনতে যান নির্যাতনের শিকার নারী। তখন মনসুরের ছেলে আলামিন ও প্রতিবেশী জাহিদুলের ছেলে রিয়াদ হোসেন তাকে চোর বলে আটক করে।
আলামিনের দাবি, তিনি তাদের রান্নাঘর থেকে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এরপর তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ, কলিম গাজীর ছেলে হারুন, তার স্ত্রী লাবনী বেগম, মনসুর আলীর ছেলে আলামিন, তার স্ত্রী কেয়া খাতুন, আলামিনের ভাবি সীমা বেগম আটকে রেখে তাকে রাতভর নির্যাতন করেছে। পরে পাশের বাড়ির জাহিদুলের স্ত্রীর সহযোগিতায় তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. আহমেদ তারেক শামস চৌধুরী বলেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীর ফোলা ও আঘাতের জায়গা নীল হয়ে আছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তিন পুরুষ ও তিন নারীকে থানায় আনা হয়েছে। মামলার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।